নিজের জীবন বিপন্ন করে সাপের বিষ পরীক্ষা করে গেছেন যে গবেষক

অনলাইন আপডেট: নিজের জীবন বিপন্ন করে সাপের বিষের তীব্রতা পরীক্ষা করে গেছেন কার্ল প্যাটারসন স্মিথ নামে একজন সাপ গবেষক।

তিন যুগ ধরে এ সরীসৃপ নিয়ে গবেষণা করে আসা স্মিথ তার সাপে ছোবল দেয়া আঙুল থেকে রক্ত চুষে মানুষের ওপর বিষের কী প্রভাব পড়ে তা তিনি মৃত্যুযন্ত্রণার মধ্যেও নোটখাতায় লিখে গেছেন। ছোবল দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ গবেষকের মৃত্যু হয়। খবর বিবিসির।

১৯৫৭ সালের ঘটনা। শিকাগোর লিংকনপার্ক চিড়িয়াখানার পরিচালক শহরের ফিল্ড মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে একটি সাপ পাঠিয়েছিলেন গবেষণার জন্য।

৭৬ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের সরীসৃপটি পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন সাপ গবেষক কার্ল প্যাটারসন স্মিথের কাছে। ওই মিউজিয়ামে তিনি দীর্ঘ ৩৩ বছর কাজ করেছেন।

বিশেষজ্ঞ স্মিথ ১৯৫৫ সালে মিউজিয়ামের মুখ্য তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অবসরে যান এবং ততদিনে তিনি সরীসৃপবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালাগুলোর একটি গড়ে তোলেন।

সাপটির মাথা উজ্জ্বল রঙের নকশায় ঢাকা ছিল এবং এর মাথার আকৃতি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গেছো সাপের মতো, যেগুলো বুমস্ল্যাং নামেও পরিচিত।

এর পর তিনি সাপটিকে আরও নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করার জন্য নিজের কাছাকাছি তুলে ধরলেন। এ সময় সাপটি তার বাম হাতের বুড়ো আঙুলে ছোবল দেয়।
কিন্তু কোনো ধরনের চিকিৎসা সহায়তা না নিয়ে তার বদলে স্মিথ নিজের আঙুল থেকে রক্ত চুষে নিতে শুরু করলেন। তার নিজের ওপর বিষের প্রভাব কি হচ্ছে তা তিনি নোটখাতায় লিখে গেলেন। ছোবল মারার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা যান।

Facebook
Twitter
WhatsApp