মেষ: মেষ খুব শক্তিশালী রাশি। তীব্রতা এই রাশির মূল স্বভাব। ভালোবাসার ব্যাপারে মেষ রাশির ব্যক্তি খুব তীব্র। কেবল এরাই প্রথম নজরে ভালোবাসা, এই বাক্যটিকে বাস্তবায়িত করতে পারেন। তবে এরা যত তাড়াতাড়ি ভালোবাসেন, তত তাড়াতাড়ি ভুলেও যান। এরা খুব তাড়াতাড়ি অধীর হয়ে যান। তাই এদের জীবনে প্রেম-সম্বন্ধ ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে চলে।
বৃষ: এই রাশিদের বলদ বা বৃষের গুণ পাওয়া যায়। এই রাশির লোকেরা ধৈর্য ধরে কাজ করেন। ভালোবাসার ব্যাপারেও এই রাশির লোকেরা ধৈর্যের পরিচয় দেন। এরা নিজের সঙ্কল্পে অটল, সহজে হাল ছাড়েন না। কোনও ব্যক্তি এই রাশির লোকেদের ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে পারে, তা হলে তারা এদের সহজেই নিজের বশে রাখতে পারেন। ভালোবাসার শেষ সীমা পর্যন্ত এরা উদারতার পরিচয় দিতে পারেন। যাদের ভালোবাসেন, তাদের জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে এরা পিছপা হন না। তবে অনাবশ্যক ঈর্ষা প্রদর্শন থেকে দূরে থাকা উচিত। না হলে নিজের প্রেমীর মনে আঘাত করতে পারেন।
মিথুন: ভালোবাসার ক্ষেত্রে এরা খুব রহস্যময়। এদের দ্বিমুখী স্বভাব খুব সহজে অনুভব করা যায়। এক মুহূর্তে কাউকে ভালোবেসে ফেলতে পারেন আবার পর মুহূর্তেই ভুলে যেতে পারেন। এরা সবসময় এমন সঙ্গীর খোঁজে থাকেন, যারা তাদের স্বভাব সহজেই বুঝতে পারে। পাশাপাশি, তাদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। এদের স্বভাব খুব চঞ্চল, তাই সঙ্গীকে সবসময় সজাগ থাকতে হয়। তবে এরা মনে করেন যে, তারা কখনোই বদলাবে না এবং খুবই বিশ্বাসযোগ্য।
কর্কট: কারও মনের গভীরে প্রবেশের সাহস দেখাতে পারেন এরা। ভাবুক হওয়া এবং সংবেদনশীলতা এদের জীবনের দু’টি স্তম্ভ। ভালোবাসার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে সমর্পণ করতে পারেন। এরা এমন সঙ্গী চায়, যারা এদের মনের কথা বুঝতে পারেন এবং ভাবনাত্মক সহযোগ দিতে পারেন। এরা খুব তাড়তাড়ি সকলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। এরা যাদের ভালোবাসেন, তাদের সমস্ত কিছু দিতে পারেন। কিন্তু কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে পিছু হটতে এক মুহূর্তেরও দেরি করেন না।
সিংহ: ভালোবাসার ব্যাপারে এই রাশির লোকেরা রাজকীয় মেজাজ দেখিয়ে থাকেন। এরা নিজের প্রেমিক/প্রেমিকাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করেন, এরা ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য। নিজের সঙ্গীর কাছ থেকেও সম্পূর্ণ নিষ্ঠা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আশা করে থাকেন এরা। এই রাশির জাতকরা খুব প্রভাবশালী। কয়েকজন লোকই এদের সংবেদনশীলতাকে বুঝতে পারেন।
কন্যা: সম্বন্ধে ধৈর্য কী ভাবে রাখতে হয়, তা এদের কাছ থেকে শেখা উচিত। এরা স্পষ্টবক্তা। তবে ভালোবাসার বিষয়ে এদের বুঝে ওঠা একটু কঠিন, কারণ অন্য কোনও বর্গের তুলনায় ভালো-মন্দের সীমা পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা এদের মধ্যে অনেক বেশি। এরা সহজে নিজের মনের কথা বা ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। এক বার ভালোবাসার ভাব জন্মালে এরা খুবই বিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু ঈর্ষার ভাব এলে এরা সমস্ত সীমা পার করে যান। শব্দের মাধ্যমে মনের কথা প্রকাশ করলে এরা খুশি হন।
তুলা: সামঞ্জস্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন এই রাশির জাতকরা। যেকোনো কথার অত্যন্ত গভীরে যান এরা। ভালোবাসার বশীভূত হলে যে কোনও ত্যাগ করতে পারেন। এরা খুব সহজে কারও সঙ্গে মিশে যেতে পারেন বা মিশতে সময় লাগান। তবে এরা যে কোনো সম্পর্কের গভীরতা খুব সহজেই বুধতে পারেন।
ধনু: ভালোবাসার ব্যাপারে খুব খোলা মনের। যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে পারেন। ভালোবাসা এদের কাছে সৃজনের বিষয়ে, যেখানে সবসময় কিছু না-কিছু নতুন করার সুযোগ থাকে। এরা সম্পূর্ণ অধিকারে ভালোবাসা এদের অন্যতম গুণ। এরা খুব গভীর ভাবে ভালোবাসেন। কিন্তু যেহেতু সম্পূর্ণ অধিকার দেখিয়ে এরা ভালোবাসা করেন, তাই এরা নিজের সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখলে, সহ্য করতে পারেন না।
মকর: এদের জন্য ভালোবাসা ঈশ্বরের ভক্তির মতো গভীর। এরা স্থায়ী প্রেমে বিশ্বাসী। এদের কাছে ভালোবাসা একটি গভীর আত্মিক অনুভূতি। এই রাশির জাতকদের কাছে জীবনের অন্যতম অর্থই ভালোবাসা। এরা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। তবে নিজের অতি অনুভূতিপ্রবণ স্বভাবকে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত। ভালোবাসা এবং কর্তব্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য এরা ভালোবাসাকে দশ বার বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করেন। তাই ভালোবাসা এদের জন্য একটি বিচিত্র অনুভূতি। ভালোবাসায় এরা কড়া নিয়ম বানিয়ে থাকেন, এটা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ ভালোবাসায় কোনো নিয়মের দরকার পড়ে না।
কুম্ভ: এরা যাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি পুরো সমর্পণ দেখান। তবে সহজে নিজের ভালোবাসা ব্যক্ত করতে পারেন না। এরা ভালোবাসার সুক্ষ্ম দিকগুলি অনুভব করেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে এরা ভালোবাসা চান। কিন্তু ভালোবাসা শব্দের অভিব্যক্তিও চায়। তাই নিজের মনের ভাবকে কথায় ব্যক্ত করা উচিত।
মীন: এরা ভালোবাসার ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল। এরা সকলের ভালোবাসা চান। ভালোবাসা ছাড়া এরা জীবনের কল্পনাও করতে পারেন না। এরা একবার যদি কাওকে ভালোবেসে ফেলেন, তা হলে সহজে আলাদা হতে পারেন না।