স্মার্টফোনে তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন সুবিধা অ্যান্ড্রয়েডে

প্রযুক্তি ডেস্ক: পরবর্তী প্রজন্মের গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারীর ডেটা এনক্রিপ্ট করার বিশেষ সুবিধা থাকবে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি করার বিষয়টি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
১৮ সেপ্টেম্বর গুগল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরবর্তী অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে বাই ডিফল্ট ডেটা এনক্রিপ্ট হবে। এতে স্মার্টফোনে জমা রাখা তথ্যের নিরাপত্তার আরও একটি বাড়তি স্তর যোগ হবে।

গুগল কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ধরেই ডেটা এনক্রিপশন সুবিধা দিয়ে আসছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম ব্যবহারকারী এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন। এখন গুগল এমন একটি ফিচারের নকশা করছে, যাতে স্মার্টফোনের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনক্রিপ্ট হয়ে যাবে। কেবল যার কাছে স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড থাকবে, সেই স্মার্টফোনে রাখা তথ্যে নজরদারি করতে পারবে।

সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য অ্যাপলও স্বয়ংক্রিয় ডেটা এনক্রিপশন প্রযুক্তি চালু করেছে।
গুগল জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় এনক্রিপশন প্রযুক্তি চালু করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নজরদারির খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকে মার্কিন প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক সুরক্ষায় নজরদারি ঠেকানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, গুগলের পদক্ষেপ তারই একটি অংশ।

কীভাবে এনক্রিপ্ট করবেন?
আপনার পণ্যের সব ডেটা এনক্রিপ্ট করার সুবিধা দেয় অ্যান্ড্রয়েড। অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি সেটিংস থেকে ডেটা এনক্রিপ্ট করা যায়। এতে মোবাইল বা ট্যাব প্রতি বার চালু করার সময় ডেটা বা তথ্যে ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড ও পিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এনক্রিপশন করা থাকলে ফোন যদি দুর্বৃত্তের হাতে পড়ে এবং একবার বন্ধ করে তা আবার চালু করে, তবে পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া তথ্য চুরি করতে পারবে না। অবশ্য ডেটা এনক্রিপশন করলে ফোনের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে এনক্রিপ্ট করতে প্রথমে সেটিংসে যান। সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে গিয়ে এনক্রিপ্ট ফোন নির্বাচন করে দিলে ফোন এনক্রিপ্ট করা হয়ে যাবে।

Facebook
Twitter
WhatsApp