শেষ হলো পাঁচদিন ব্যাপী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত “জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি” বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এর আওতায় শনিবার ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং যশোর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে শেষ হলো পাঁচ দিন ব্যাপী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ।

গত ১২ জানুয়ারি থেকে ঢাকার ইউল্যাব ও ১৩ জানুয়ারিতে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শুরু হয়ে আজ শেষ হলো এই পাঁচ দিন ব্যাপী দুটি আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণ। ইউল্যাবের প্রশিক্ষণটি ছিলো ঢাকা জেলায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ নং প্রশিক্ষণ কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ইউল্যাবের জন্য ৪১ জন এবং যশোরের জন্য ৪৭ জন প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচিত হন। পাঁচ দিনে ছাত্র ছাত্রীদেরকে জাভা ও অ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনে উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে কর্মশালার শেষ দিকে প্রশিক্ষণার্থীরা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও তৈরি করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষনার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়, যা তাঁরা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষনার্থী একই প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান, সহকারি প্রকল্প পরিচালক জনাব আরএইচএম আলাউল কবীর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সিএসই বিভাগের প্রধান জনাব ড. সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি. এর প্রধান নির্বাহী জনাব আশ্রাফ আবির।

এছাড়া যশোরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জাহিদ হোসেন পনির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি. এর উপ পরিচালক এফ এম শাহ পারভেজ। নজরুল ইসলাম খান স্কাইপের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি সমাপণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এবং সফল প্রশিক্ষনার্থীদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

পাঁচ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে যশোরে অবস্থিত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে সর্বমোট ৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে ৩৯ জন সফল শিক্ষার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা এবং ঢাকাতে ৪১ জন শিক্ষার্থীর ভেতরে ৩৮ জন সনদপত্র প্রদান করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের তৈরি করা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের ভেতরে নম্বরের ভিত্তিতে ঢাকাতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ছাত্র রিফাতুল ইসলাম চয়ন এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন। বিজয়ী হিসেবে উভয়ই সিম্ফনির পক্ষ থেকে একটি করে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট গ্রহণ করেন। এছাড়া প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে যশোরে নির্বাচিত প্রথম তিন জনকে যশোর জেলাস্থ উৎসব কম্পিউটারে কাজ করার জন্য নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। এমসিসি লি. ও উৎসব কম্পিউটারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিতরা আগামী তিন মাসের জন্য শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করার এই সুযোগ পাচ্ছেন।

পাঁচ দিনের এই প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি.। উল্লেখ্য এই প্রকল্পের অন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইএটিএল। এছাড়া সহযোগী সংস্থা বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট ও গুগল ডেভলপার গ্রুপ ঢাকা।

Facebook
Twitter
WhatsApp