বহু মানুষের প্রতিবাদের মধ্যেই ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি একটি দুই বছর বয়সী সুস্থ-সবল জিরাফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা চিড়িয়াখানার ভেতরের জিরাফদের অন্তঃপ্রজনন প্রতিহত নিরুৎসাহিত করছেন। এ সিদ্ধান্তের আলোকেই জিরাফটির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ম্যাশএবল।
ম্যারিয়াস নামে সেই জিরাফটির মৃত্যু পরোয়ানা জারি হলে প্রায় ২৭ হাজার মানুষ তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পিটিশনে স্বাক্ষর করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পার্ক ও চিড়িয়াখানা তাকে নিতে চায়। তবে এতে প্রভাবিত হয়নি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে রবিবার জিরাফটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা জিরাফদের জন্য ইউরোপিয়ান প্রজনন কর্মসূচির নিয়ম মেনে জিরাফটিকে হত্যা করেছে। নিয়মটিতে বলা হয়েছে, প্রাণীদের অন্তঃপ্রজনন বন্ধ করতে হবে তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য।
তবে ডেনমার্কের প্রাণী ক্লেশ নিবারণ সংগঠনের সদস্য স্টিন জেনসেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তে মোটেই সন্তুষ্ট নন। তিনি জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের যেমন নৈতিক রূপ প্রদর্শন করে, তারা তেমন নয়। তিনি বলেন, ‘এখানে একটা চিড়িয়াখানা আছে, যারা ভালো বিকল্প থাকার পরও একটা জিরাফকে মেরে ফেলার চিন্তা করতে পারে।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জিরাফটির জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে জিরাফটির জীবনযাত্রার মান কমে যাবে বলে ধারণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
এ কারণে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে সুস্থ জিরাফটিকে শেষ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের সামনেই বন্দুকের গুলিতে হত্যা করে কোপেনহেগেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরপর তার দেহ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সরিয়ে ফেলা হয়। যার কিছু অংশ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ খাওয়ানো হয় চিড়িয়াখানার সিংহকে।
