এবার আবিস্কার হলো জন্তুদের মত মানুষের লেজ নাড়ানোর পদ্ধতি !

অনলাইন আপডেট – এক্সক্লুসিভ ডেস্ক :পৃথিবীতে যে কত আজব কিছুই হয় । মাঝে মাঝে কিছু আজব আবিস্কারও হয়।অনেক সময় মনের খেয়ালে কোন পাগলাটে আবিস্কারক আবিস্কার করে অহেতুক কোন কিছু । দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই স্রেফ মজা করার জন্যই ব্যাবহার করে এমন কিছু আবিস্কার ।

আমাদের অনেকেই আছেন যারা মনে মনেই খুশী হয়ে থাকেন। খুশী হলেও সে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন না বা প্রকাশ করেন না। যারা একটু চাপা স্বভাবের তারা সহজে নিজের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা কিংবা কোনো ধরনের অনুভূতি ঠিক সহজভাবে প্রকাশ করতে পারেন না।এতে করে যিনি তাকে খুশী করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি পড়ে যান বিপাকে। তিনি ভাবেন এত চেষ্টার পরও আমি তাকে খুশী করতে পারলাম না।
নিজের প্রিয় মানুষটি খুশী হয়েছেন কিনা তা বোঝার জন্য মাথার চুল যাতে ছিঁড়তে না হয় সেজন্যও প্রযুক্তি বের করে ফেলেছে উপায়। জাপানের এক পাগলাটে আবিষ্কারক শোতা ইশিওয়াতারি আবিষ্কার করেন এক অদ্ভুত মানুষের লেজ যা নির্ধারণ করবে খুশী হওয়ার ঘটনাটি। হয়তো এই আবিষ্কারক নিজেই একজন ভুক্তভোগী, তাই নিজের প্রিয় মানুষটি খুশী কিনা তা জানার জন্যই তার এই আবিষ্কার।

শোতা ইশিওয়াতারির আবিষ্কৃত এই যন্ত্রটির নাম ‘টেইলি’। এটা হচ্ছে বেল্টে আটকানো একটি লেজ। ‘টেইলি’র মধ্যে এমন একটি যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে যা মানুষের হৃদস্পন্দনের হার পরিমাপ করতে সক্ষম। মানুষ যখন কোনো কারণে আনন্দিত হন, তখন সেটা মুখের ভাবে প্রকাশ না পেলেও হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায় সাধারনের তুলনায় বেশি। আর যদি এই বেল্টটি পরে থাকার পর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় তবে সাথে সাথেই নড়া শুরু করবে টেইলিতে লাগানো লেজটি।
শুধু তাই নয়, আনন্দের মাত্রার সাথে লেজ নাড়ার মাত্রাও বাড়বে এবং কমবে। তাই প্রিয় মানুষটি খুশী কিনা এবং কতোটুকু খুশী হয়েছেন তা তার লেজ নাড়ানো থেকেই বুঝতে পারবেন।

Facebook
Twitter
WhatsApp