অনলাইন আপডেট ডেস্কঃ দেশে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপে সেরামের ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম দফায় কারা করোনার টিকা পাবেন তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর মাথা ঝিমঝিম করা, ব্যথা, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। তবে সেটা ২ থেকে ৩ ভাগের বেশি না। যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করবে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার খুবই কম। তবে যেকোনও টিকার ক্ষেত্রেই মাইল্ড থেকে মডারেট বা সিভিয়ার সাইড ইফেক্ট হতে পারে। বাংলাদেশে শিশু এবং বড়দেরও যে টিকা দেওয়া হয় সেখানে এনাফাইলিক্সিস বলে একটা কথা রয়েছে। এই এনাফাইলিক্সিস হচ্ছে একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া—যেটা হতেই পারে। তবে এনাফাইলিক্সিসের আবার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। তবে একটা জিনিস আমরা বলবো, যারা আমাদের টিকা দেবে, টিকাদান কেন্দ্রে যারা থাকবেন, তাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
তিনি জানান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে আমাদের উপজেলা, জেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক মেডিক্যাল টিম থাকবে এবং কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত ওষুধ এনাফাইলিক্সিসের জন্য মজুত রাখা হবে। যাতে চিকিৎসক দল সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হতে পারে অথবা উপজেলা হাসপাতালে চলে আসে। উপজেলা হাসপাতালেও যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়টি ভেবে সেখানে প্রস্তুতি নেওয়া থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে করোনার টিকার প্রথম চালান আসবে। সব প্রস্তুতি শেষে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনার টিকার প্রয়োগ হবে।