শীতে জবুথুবু হয়ে যাই আমরা। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কত রকমের শীত পোশাকের সাহায্য নেই নিতে হয়। কিন্তু যেখানে আমরা থাকি, অর্থাৎ আমাদের ঘরবাড়ির উষ্ণতার জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। অথচ ঘরই হচ্ছে আপনার পরম আরামের জায়গা। তাই সেই ঘরকে গরম রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় তো মেনে চলাই যায়…
♦ শীতের সময় মূলত দেয়াল ঠাণ্ডা হয়ে আসে। আর দেয়াল ঠাণ্ডা হয়ে গেলেই ঘরও ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তাই দেয়ালে প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। এই কোটিং কাজে লাগে শীত ও তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য।
♦ এরপর আসে ঘরের কার্পেটিংয়ের ব্যাপারটা। কার্পেটিংয়ের উপর যদি একটু নজর দেওয়া যায় তবে শীতের প্রকোপ থেকে অনেকটাই বাঁচা যেতে পারে। কারণ দেখা যায়, মার্বেল কিংবা টাইলসের মেঝে গরমে আরামদায়ক, কিন্তু শীতে হয় ঠিক উল্টো।
♦ এছাড়াও এ সময় শতরঞ্জিও বিছাতে পারেন। অনেকে ঘরের ভেতরে স্যান্ডেল ব্যবহার করেন না। কিন্তু এই সময়ে স্যান্ডেল ব্যবহার না করলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
♦ শীতের সাথে সাথে ঘরের পর্দার ব্যাপারটি চলে আসে। কারণ মোটা পর্দার ব্যবহারও অনেকাংশে শীতের প্রকোপ ঠেকাতে সহায়তা করে।
♦ কুয়াশা ঘেরা সময়ে রোদের অপেক্ষা করতে থাকেন সবাই। মিষ্টি রোদ উঠলেই উঠোন বা বারান্দায় গিয়ে বসা হয়। কিন্তু ঘরের ক্ষেত্রে কৃপণতা কেন। রোদ উঠলে জানালার পর্দা সরিয়ে দিন। ঘরের ভেতরে রোদ ঢুকলে উষ্ণতা অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।
♦ ঘর সাজানোর জন্য গাছের ব্যবহার অল্পবিস্তর আমরা সবাই করি। তবে শীতকালে এর সবিশেষ ব্যবহার প্রয়োজন। সুন্দর পাত্রে পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট, মৌসুমী ফুলের গাছ ঘরে এক স্নিগ্ধ ও খোশমেজাজ যোগ করে।
♦ এছাড়াও শীতের সময় ঘরে ধূলোর প্রকোপ বেড়ে যায়। সেকারণে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে সোফা, কার্পেট পরিষ্কার করলে ভাল হয়।