লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রথম বিষয় হলো আঙ্গুল চোষার ব্যাপারটি শিশুদের জন্য স্থায়ী হয় না কখনোই। শিশু তার হাতের বুড়ো আঙ্গুল মুখে দিয়ে চুষছে বা কামড়াচ্ছে, এটি আমাদের অত্যন্ত পরিচিত একটি দৃশ্য। বেশিরভাগ শিশুর মধ্যেই এই প্রবণতাটি লক্ষ্য করা যায়। এই সময়টিতে আমরা সাধারণত তাকে বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলি যে, এই আঙ্গুল চুষতে হয় না অথবা মুখে হাত দিতে হয় না ইত্যাদি।
কিন্তু বেশ বড় হয়ে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়াতে পারছেন না? একটু বড় হতেই তার সঙ্গে যোগ হয়েছে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস? ভাবছেন এতে শরীরে বাসা বাঁধছে রোগ, ইনফেকশন, অ্যালার্জির জীবাণু? চিন্তার কিছু নেই। কারণ, একদল গবেষক জানাচ্ছেন, ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। আঙুল চোষার অভ্যাস থাকলে নাকি বেড়ে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ছোট থেকেই প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ তৈরি হওয়া প্রয়োজন শিশুদের। কিন্তু বেশ কিছুটা সময় পর্যন্ত প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ না থাকায় হঠাৎ বাইরে বের হলে অ্যালার্জি আর ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ১৩ বছর বয়সী একদল কিশোরের ওপর সমীক্ষা চালান গবেষকরা। দেখা গেছে, এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শিশু বিড়াল, কুকুর, ধুলো বা ফাংগাস অ্যালার্জির প্রতি সংবেদনশীল।
তবে এই শিশুদের মধ্যে যাদের আঙুল চোষার অভ্যাস রয়েছে তাদের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ৩১ শতাংশ পর্যন্ত কম। কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপক ম্যালকম সিয়ারস জানান, প্রচলিত হাইজিন থিওরি বলে, যত অল্প বয়স থেকে ধুলো ময়লা, বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগ হবে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত বাড়বে। এই সমীক্ষার ফল সেই থিওরির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। মুখে আঙুল দেয়ার ফলে জীবাণু সরাসরি তাদের শরীরে প্রবেশ করছে যা বাড়িয়ে দিচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।