মুখের দুর্গন্ধের ৫ টি অদ্ভুত কারণ এবং প্রতিকার

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বেশিরভাগ মানুষই নিজের মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েন। দু’বার ব্রাশ করা, ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা এবং মাউথওয়াস করেও অনেকের মুখে রয়ে যায় দুর্গন্ধ। ভেবেই পান না অনেকে কেন এমনটি হচ্ছে। কেন মুখের সকল প্রকার যত্ন নেয়ার পরও রয়ে যাচ্ছে দুর্গন্ধ এবং কেনই বা কোন কিছু করেও দূর করা যাচ্ছে না এই দুর্গন্ধ?

মুখের দুর্গন্ধের সব চাইতে বড় কারণ হচ্ছে মুখের ভেতরটা শুকিয়ে যাওয়া এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া। আমরা অনেকেই এমন অনেক কাজ করি যাতে করে মুখের ভেতর শুকিয়ে যায় এবং মুখে জন্মায় ব্যাকটেরিয়া। এবং বুঝতেও পারি না এসব কারণে মুখে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধের। দেখে নিন মুখের দুর্গন্ধের আশ্চর্য কিছু কারণ এবং এর প্রতিকার।
ঠাণ্ডা লেগে নাক বন্ধ থাকলে

একটু অনিয়ম করলে অনেকেই ঠাণ্ডার সমস্যায় পড়েন। অনেকের তো সারাবছরই ঠাণ্ডা লেগে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ এই ঠাণ্ডা জনিত সমস্যার কারণে হয়। আমাদের মুখের ভেতরে খাবার হজম করার সুবিধার্থে থাকে লালা বা স্যালাইভা। এই স্যালাইভা শুকিয়ে গেলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে। যখন আমাদের ঠাণ্ডা লাগে তখন আমাদের মুখের ভেতর শুকিয়ে আসে অর্থাৎ স্যালাইভার পরিমাণ কমে যায় এবং ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে। ফলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
প্রতিকারঃ একটি চুয়িং গাম মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন। মুখ আর্দ্র হবে, ফলে দুর্গন্ধ দূর হবে।
লজেন্স খেলে

যে ধরণের লজেন্সগুলো দাঁতে বা মুখে লেগে থাকে যেমন, জেলি ধরণের চকলেট, ক্যারামেল চকলেট, গামি বিয়ার ইত্যাদি, এসব লজেন্সগুলো মুখের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। ফলে মুখের দুর্গন্ধ বাড়তে থাকে প্রতিনিয়ত।
প্রতিকারঃ লজেন্স জাতীয় খাবার বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট খান। এতে চিনি কম থাকে এবং এগুলো মখে বা দাঁতে লেগে থাকে না। মুখ দুর্গন্ধ হবে না।
মাউথওয়াশ ব্যবহার

আপনার মাউথওয়াশটি লক্ষ্য করুন। এর উপাদানসমূহ ভালো করে দেখুন। অনেক মাউথওয়াশে থাকে মুখের ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য অ্যালকোহল। যদি এই অ্যালকোহল ২৭% এর বেশি থাকে তাহলে তা অবশ্যই দেখার বিষয়। কারণ অ্যালকোহল মুখের ভেতরের স্যালাইভা শুকিয়ে ফেলে। এতে করে মুখে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে কিছুক্ষণ পর থেকেই। ফলে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
প্রতিকারঃ মাউথওয়াশ কেনার আগে অবশ্যই অ্যালকোহলের মাত্রা দেখে কিনবেন।
ডায়েট করার ফলে

বাড়তি মেদ কমানোর জন্য অনেকে ডায়েট করে থাকেন। কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান ডায়েটের সময়। কিন্তু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মুখে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয় অতি মাত্রায়। যদি আপনি প্রতিদিন উচ্চমাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান তবে মুখ দুর্গন্ধ হবে।
প্রতিকারঃ উচ্চমাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুব বেশি খাবেন না। ফল খান। এবং শাকসবজি থেকে প্রোটিন নেয়ার চেষ্টা করুন।
দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ

আশ্চর্য হলেও সত্যি যে দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ হতে পারে মুখ দুর্গন্ধের কারণ! যখন দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ ভর করে মনে তখন হাত পা ঘেমে যায়, মাথা গরম হয়ে যায় এবং মুখ শুকিয়ে আসে। ফলে মুখে বাড়তে থাকে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ। সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধের।
প্রতিকারঃ এক গ্লাস দুধ পান করুন। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকগণের মতে ফ্যাটবিহীন দুধ মুখের দুর্গন্ধ কমাতে বেশ কার্যকরী। কারণ দুধ খেলে মুখে স্যালাইভার পরিমাণ বাড়ে। ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। দুর্গন্ধ কমে।

Facebook
Twitter
WhatsApp