লাইফস্টাইলঃ
ভালোবাসা শব্দটির আভিধানিক অর্থ অনেকের কাছে বিয়ের আগের ভালোবাসাতেই প্রকাশ পায়। কিন্তু ভালোবাসা তো কোনো বন্দি বাক্স নয় যে তা কেবল একটি গণ্ডিতেই আটকে থাকবে! মানুষ একটি সময় পার করে তার বন্ধু বা পরিচিত বা অপরিচিত কারো প্রেমে পড়ে। দীর্ঘ সময়ের এই প্রেমে থাকে সুখ, দুঃখ, আনন্দ-বেদনার অনুভূতি। তবে সব প্রেম বা ভালোবাসারই শেষ গন্তব্য থাকে বিয়ে। যদিও কিছু ভালোবাসা শুধু প্রেমের পথেই শেষ শয্যা নেয়। বিয়ের মুখ দেখে না।
আবার অনেকে ভালোবাসেন বিয়ের পর। সে ভালোবাসাতেও থাকে একে অন্যকে জানার প্রবল ইচ্ছা। তবে প্রেম যেভাবে যেখানেই হোক; একে অন্যের সাথে সময়তো কাটাতেই হয়। তার জন্য জেনে রাখা প্রয়োজন আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী প্রথম পরিচয় বা ডেটিং করতে গিয়ে আপনার কাছে কী আশা করে। আপনার আচরণ, নিজেকে প্রকাশের ধরন, ভালোবাসার গভীরতা কীভাবে প্রিয় মানুষটিকে তৃপ্ত করবে? সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা স্ত্রীর সঙ্গে আপনি যে আচরণটি করতে চাইবেন প্রেমিকা সেই আচরণটি গ্রহণ নাও করতে পারে। আবার প্রেমিকা ভালোবাসার চেয়ে খানিকটা আলাদা বৈকি ঘরণিকে তুষ্ট করায়। আর প্রেমিকার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণই আলাদা স্ত্রীর ভাবনার থেকে।
তাই জেনে নিন প্রেমিকা আর স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর কিছু টিপস-
প্রেমিকা
প্রেমিকা হুট করে ছেলেটির পরিবারের সাথে পরিচিত হতে চায় না। সে চায় শুধু সেই ছেলেকে। তাই প্রথম ডেট করতে গেলে সে প্রেমিককেই একান্তে চায়।
স্ত্রী
সে সবার আগে আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে পরিচিত হতে চায়। সে জানে আপনাকে তারা ভালো চেনে। তাই সে ধারণা করে তাদের থেকে স্বামী সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পেতে পারে সে। তাই কোথাও ঘুরতে গেলে একে অপরের সাথে সময় কাটানো ছাড়াও পরিবারের দিকে খেয়াল রাখে। পরিবারের দুই-চারজন মানুষ সঙ্গে গেলে সে খুশিই হয়। তাই বলে আবার হানিমুনের মতো একান্ত সময় কাটানোর মুহূর্তগুলোতেও পরিবারকে সঙ্গী করবেন না যেন!
প্রেমিকা
সব মেয়েরাই রূপের প্রশংসা শুনতে চায়। তবে প্রেমিকারা নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে একটু বেশি প্রাধান্য দেয়। সে খুব খুশি হয় তার রূপের প্রশংসায়। তাই খুব মনযোগ দিয়ে প্রেমিকাকে দেখুন। তার সাজের প্রশংসা করুন। তার পোশাকেরও। এক্ষেত্রে দু-চারটে কবিতার লাইন বলে দিতে পারলে মন্দ হয় না।
স্ত্রী
মেয়েরা নিজের সৌন্দর্যের প্রশংসা চায় বটে। তবে একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছে একান্তে বসে ভালোবাসাই বেশি চায়। সে মনে মনে প্রতিযোগিতায় নামে ভালোবাসার। তাই তাকে ভালোবাসুন মন খুলে। আর জানার সুযোগ করে দিন কী করলে আপনার ভালো লাগে, কীসে আপনার মন্দ। কোন রঙের শাড়ি আপনার ভালো লাগে। চুলের কী স্টাইল আপনি পছন্দ করেন। মোটকথা কেমন সাজে আপনি বউকে দেখতে চান- বলে দিন। দেখবেন স্ত্রী হয়ে উঠবে আপনার দারুণ এক সঙ্গী। কেননা একজন স্বামী যেমন স্ত্রীকে সবকিছু দিয়ে চায়; তেমনি একজন স্ত্রীও স্বামীর মনের মতো হয়ে উঠতে চায়।
প্রেমিকা
টাকা না থাকলে নাকি ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এমনটা হয় যে প্রেমিকের টাকার সংকটের জন্য প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাকে সময় দিচ্ছে না। তার সাথে ঘুরতে গেলে তাই বাজেটের ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কেননা, ঘুরতে গিয়ে পকেটে টাকার টান পড়লে প্রেমিকার খোঁটা শুনতে হয়। তবে সব মেয়েই তো আর এক নয়। তাই প্রেম করার আগে আপনার প্রেমিকার মানসিক অবস্থা বিশেষ করে তার অর্থলোভের ব্যাপারটি যাচাই করে নেয়াই ভালো।
স্ত্রী
স্বামী যেই অবস্থাতেই থাকুক স্ত্রী তাকে নিজের রাজ্যে রাজাই মনে করেন। কোনো কোনো স্ত্রী হয়তো স্বামীর অর্থাভাবের জন্য মনে গোপন কষ্ট পুষে রাখতে পারেন; তবে স্বামীকে ছেড়ে যাবার কথা ভাবেন না কখনো। বরং নানাভাবে স্বামীকে উৎসাহ দেন। তাই ঘুরতে যাবার আগে টাকা-পয়সা নিয়ে ভাববেন না। কিছু পরিকল্পনা করুন স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে কীভাবে সময়টা উপভোগ্য করে তোলা যায়। স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করুন। দেখবেন দারুণ ডেটিংয়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
প্রেমিকা
প্রেমিকের সব কথাই প্রেমিকা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে। তাই তার সাথে কাটানো সময়গুলো মধুর হয়ে থাকে। কোনো কথায় ধরা পড়ে যাবার ভয় কম।
স্ত্রী
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গেলে কথাবার্তা একটু সাবধানে বলাই ভালো। নইলে ফুরফুরা মনে আনন্দের স্রোতে হয়তো এমন কিছু বলে বসবেন যা আপনার স্ত্রী আগে জানতো না। সেটি জানার পর তার মন খারাপ হতে পারে, রেগেও যেতে পারেন। তাছাড়া স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটাই এমন অম্ল-মধুর।
সূত্রঃঅনলাইন