লাইফস্টাইল ডেস্ক: খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণে ভরপুর সহজলভ্য ফল কলা। সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। সকালের নাস্তায় কী ফল খেলে ভালো হয় এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। সকালের নাস্তায় হোক কিংবা বিকেলের নাস্তায় ফল খাওয়ার জন্য কলা একটি আর্দশ ফল।
১। ওজন হ্রাসঃ
অনেকে মনে করেন কলা ওজন বৃদ্ধি করে। এটি ভুল ধারণা। একটি ছয় ইঞ্চি কলায় ৯০ ক্যালরি থাকে। এটি আঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় সহজে হজমযোগ্য। খাবার খাওয়ার আগে একটি কলা খেয়ে ফেলুন। এটি আপনার বেশি খাওয়া প্রতিরোধ করবে।
২। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ
উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ সোডিয়ামের অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
৩। বুক জ্বালাপোড়া দূরঃ
কলা বুক জ্বালাপোড়া দূর করতে বেশ কার্যকর। কলাতে প্রোটিয়েজ ইনহিবিটর আছে যা পাকস্থলীর আলসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে এটি পাকস্থলীতে ঘা হওয়া প্রতিরোধ করে।
৪। হতাশাঃ
কলাতে ট্রিপটোফেন নামক উপাদান আছে যা আপনাকে রিল্যাক্স করে থাকে। ভিটামিন বি, ট্রিপটোফেন হরমোনের মাধ্যমে আপনার মাঝে খুশির অনুভুতি দিয়ে থাকে। এই জন্য এই উপাদানকে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়।
৫। রক্ত স্বল্পতা দূর করাঃ
কলা উচ্চ আয়রন সমৃদ্ধ ফল। রক্ত স্বল্পতা অথবা অ্যানেমিয়া দূর করতে প্রতিদিন একটি কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে, তাৎক্ষনিক শক্তি দিয়ে থাকে।
৬। পিএমএস নিয়ন্ত্রণঃ
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ আছে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা পিএমএস PMS (Premenstrual syndrome) কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এটি মাসিকের সময়কাল পেট ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে থাকে। তাই এই সময় নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।
৭। হার্ট সুস্থ রাখতেঃ
উচ্চ আঁশযুক্ত কলা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। University of Leeds in UK এর মতে উচ্চ আঁশযুক্র কলা হৃদরোগ হওয়া ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি কলা রাখুন।