লাইফস্টাইলঃ
অভ্যাস মানুষ দ্বারাই চালিত। যদিও সবাই অভ্যাসকে দোষারোপ করে পার পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তবে তা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। অভ্যাস এমন একটি অংশ যা মানুষ ইচ্ছা করলে একটু সচেতনতার সাথে বদল করতে পারে। যেকোনো ভালো কিছু করার পেছনে ইচ্ছেশক্তিই যথেষ্ট। তাই ইচ্ছেশক্তিকে দিয়ে এই অভ্যাসের মায়াজালকে ছিড়ে বেড়িয়ে আসুন।
সুস্বাস্থ্যের জন্য:
নিজের প্রতি যত্নবান হতে আমাদের গড়িমসির শেষ নেই। বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিকর আমরা তার দিকেই বেশি ঝুঁকি। যাতে আমরা গ্যাস্ট্রিক, পেটেব্যথা সহ নানা রোগে ভুগি। এসব থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে প্রতিদিনের অভ্যাস করা ভোর বেলায় এক গ্লাস পানি পান। যা আমরা সচারচর কেউই পান করিনা। এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তাই আজ থেকে অভ্যাসের তালিকায় ভোর বেলায় এক গ্লাস পানি লিখে রাখুন।
মানসিক:
কোনোকিছু নিজের মাঝে জমিয়ে বা দাবিয়ে রাখবেন না। যা আপনার মনে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দেবে। তাই মনে প্রশ্ন আশা মাত্রই তা করে ফেলুন। এইগুলো মনের ভেতর জমিয়ে রাখাও একটি অভ্যাস। যা আপনাকে বাজে মানসিকতের সম্মুখীন করতে পারে।
কাজ:
কাজের মাধ্যমেই মানুষকে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু আপনি যদি কাজ ছাড়াও হাজারো আজেবাজে চিন্তা করেন, নানা দিক নিয়ে ভাবতে থাকেন তবে আপনি কখনো ভালোকাজ করতে পারবেন না। আর সফলতার মুখও দেখতে পারবেন না। এজন্য মনোযোগ দিয়ে যে কাজ করছেন তা করতে থাকুন দেখবেন সফলতা আশসবেই। আর কাজকে নয় অধ্যাবসায়কে অভ্যাসে আনুন।
সম্পর্ক:
ভালোবাসার সম্পর্ক ছাড়াও বাবা, মা, ভাইবোনদের সাথে আমাদের কত না মধুর সম্পর্ক থাকে। আমাদের কিছু বাজে অভ্যাসের জন্য আমরা তাদের থেকে আস্তে আস্তে দূরে যেতে থাকে। তাদের সময় না দেয়া, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে না শোনা এর ভেতরে উল্লেখযোগ্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে সময় কাটানো আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোতেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
সামাজিক অবস্থান:
সামাজিক অবস্থানের ক্ষেত্রেও কিছু ব্যপার আমাদের মাথায় রাখা উচিৎ। সমাজে চলাফেরা, বড়দের সাথে ভালো আচরণ করা ইত্যাদি। সবার সামনে ধূমপান করা, খারাপ আচরণ করা এসব থেকে বিরত থাকলে সমাজে আপনার কেবল সম্মানই বাড়বেনা সেইসঙ্গে আপনার সম্পর্কে তাদের একটি ভালো ধারণাও তৈরি করবে। তাই এসব মাথায় রেখে চলুন আর নিজের অভ্যাসকে পরিবর্তন করুন।