লাইফস্টাইল ডেস্ক: কালান্তক করোনার ছোবলে অতিষ্ঠ গোটা বিশ্ব। বছর ঘুরলেও দিন যত যাচ্ছে ততই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র । সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
আর দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং চারপাশকে যেমন সুস্থ রাখা জরুরি তেমনই নিজের বাড়িকেও করোনার কবল থেকে মুক্ত রাখা একান্তই আবশ্যক । কারণ, বাইরের জগতের পাশাপাশি ঘর থেকেও যেকোনও রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটে।
ফলে নিজের বাড়িকে এবং বাড়ির সদস্যদের এই কঠিন সময়ে সংক্রমণ মুক্ত রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজও বটে। তবে যাই হোক না কেনও সুস্থ থাকতে এবং প্রিয়জনকে সুরক্ষিত রাখতে পরিস্কার পরিছন্ন থাকা খুবই জরুরি। আর তারপরে যদি সেটা হয় মহামরীর সময় তাহলে তো কোনও কথায় নেই। এই সময় নিজের এবং পরিবারের খুদে থেকে প্রবীণ সবার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাটা জরুরি।
যারফলে এই সময় নিজের পরিবারের সকলের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনি বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন । তাতে আখেরে লাভ আপনারই হবে।
১. যেমন ধরুন এই সময়ে আপনার আশেপাশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা উচিত। আপনার এলাকায় নতুন করে কেউ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ রাখুন।
২. স্থানীয় সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। যে কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে, আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা এবং অন্যান্য সহায়তায় পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
৩. এই সময় বাড়িতে একটা আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে রাখবেন। যাতে বাড়ির কোনও সদস্য অসুস্থ হলে তাঁকে ওই ঘরে স্থানান্তরিত করা যায়।
৪. এছাড়াও এই সময় বাড়ির বয়স্ক মানুষ অথবা অসুস্থ রোগীদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে চলুন। নচেৎ হিতে বিপরীত হতে কতক্ষন?
৫. সময়ে অসময়ে কোনও বিপদে পড়লে বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র মজুত রাখুন। যাতে তাৎক্ষনিক বিপদ এড়ানো যায়।
৬. এই সময় অযথা বাইরে বেরোনোর এড়িয়ে চলাই ভালো।
৭. বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোলে বা কোথাও থেকে ঘুরে বাড়ি ফিরে ভালো করে স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করা উচিত। হাত না ধুয়ে নাক, চোখ এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলাই ভালো। নিজেকে সংক্রমণ মুক্ত রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা জরুরি । কমপক্ষে ২ মিটার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার।
৮.বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাক্স পড়ে চলা উচিত। এছাড়াও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে জামা কাপড়ও জীবাণুমুক্ত করা জরুরি । পারলে ঈষৎদুষ্ণ জলে স্নান করে ফেলা ভালো শরীর ও স্বাস্থ্যের পক্ষে।