একটি টুথব্রাশ কতদিন ব্যবহার করা যায় ?

লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ টুথব্রাশ, বিছানার চাদর, তোয়ালে- নিত্যপ্রয়োজনীয়, নিত্যব্যবহার্য জিনিস থেকে হতে পারে বিভিন্ন অসুখ। কেননা বারবার ব্যবহারের পর এগুলো হয়ে পড়ে জীবাণুযুক্ত এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। আমাদের দৈনন্দিন দাঁতের যত্নে টুথব্রাশ একটি অপরিহার্য উপকরণ। দাঁত ব্রাশ করার জন্য কমবেশি প্রত্যেকেই টুথব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। আর শুধু সুন্দর দাঁতের জন্য নয়, মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও টুথব্রাশের ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে অন্তত দু্ই-তিন বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। তবে ভালো হয় প্রতিবার আহারের পর দাঁত ব্রাশ করা। দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি ফ্লোসিং করাও দরকার। কারণ দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য কণিকা অনেক সময় ব্রাশ করলে যায় না। এ ক্ষেত্রে ফ্লোসিং বেশ কার্যকর।

এছাড়া মনে রাখতে হবে মানুষের মুখ গহ্বর হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের অত্যন্ত উর্বর জায়গা। প্রতিদিন নিয়ম মাফিক দাঁত ব্রাশ ও ফ্লোসিং না করা হলে মুখে অধিক হারে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং এসব ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দাঁতের বহিরাবরণ বা এনামেলকে আক্রমণ করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়। অনেক ক্ষেত্রে দাঁত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আর একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, আমরা যে টুথব্রাশ ব্যবহার করি সে সব টুথব্রাশেও ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। টুথব্রাশে সাধারণত ১০ মিলিয়ন জীবাণু থাকে। এর মধ্যে থাকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফ্লু তৈরিকারী ভাইরাসও। এমনকি হেপাটাইটিস সি-র ভাইরাসও পাওয়া যায় টুথব্রাশের ভেতর। তাই একজনের ব্রাশ কখনোই আরেকজন ব্যবহার করবেন না। তাই দাঁত ব্রাশ করার পর টুথব্রাশও ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখতে হবে। আর অন্তত প্রতি তিন মাসে একবার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা ভালো। এ ছাড়া দাঁতের প্লাক পরিষ্কার করার জন্য প্রতি ৬ মাস থেকে এক বছর পর একজন দন্ত্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ‘এক মাস পরপর ডিশওয়াশার দিয়ে ব্রাশ পরিষ্কার করুন। পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ফুটান। এরপর ব্যবহার করুন।’ এমনটাই জানা যায় যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিররে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে।

এ ছাড়া তোয়ালে ও চাদর বদলানোরও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আসুন জানি সেগুলোও।

তোয়ালে

গোসলের তোয়ালে মৃতকোষ শোষণ করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলো শোষণ করে। স্যাঁতসেঁতে তোয়ালেতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। একজনের তোয়ালে অন্যজন ব্যবহার করা মানে এসব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অন্যের শরীরেও ছড়িয়ে পড়া। তিনবার ব্যবহারের পর তোয়ালে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

চাদর

মানুষের শরীরের মৃতকোষ, ব্যাকটেরিয়া, দেহের ময়লা এসব জমে থাকে চাদরে। এটি শরীরে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতি সপ্তাহে চাদর পরিষ্কার করা দরকার। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আলো-বাতাসপূর্ণ ঘর জীবাণু ধ্বংস করে।’ তাই চাদর ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে ঘরের জানালাগুলো খুলে দিন।

Facebook
Twitter
WhatsApp