লাইফস্টাইলঃ
এখনকার সময়ে বাড়তি ওজন সবার জন্যই একটা দারুণ সমস্যা। ওজন কমানোর জন্য একেক জনের কাছে একেক রকম সমাধান। কেউ খাওয়া দাওয়া করেন হিসেব করে কেউ আবার একেবারেই খাওয়া কমিয়ে দেন, এতে করে হিতে বিপরীত হয়। তাই কিছু খাবার বিশেষ ফল আছে যেগুলো পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত গ্রহণ করলে পাওয়া যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত ফল। কিছু ফল ক্ষুধা নিবৃত করে। যার ফলে বাড়তি খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এখানে কিছু ফলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা দেয়া হল যা আপনার ওজন কমানোর জন্য সহায়ক।
তরমুজ
গরম পড়লেই বাজারে দেখা মেলে তরমুজের। রসে ভরপুর এই ফলে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩০ ক্যালরি আছে। তরমুজ আপনার শরীরকে জলয়োজিত করে রাখে। গরমের তৃপ্তিদায়ক ফল তরমুজে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারা
ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজমের জন্য উপকারী ফল পেয়ারা ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
নাসপাতি
ভিটামিন সি’র অন্যতম বড় একটি উৎস নাশপাতি। ওজন কমানোর জন্য অনেকের কাছে প্রথম পছন্দের ফলও এটি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটে থাকে। হজম হয় ধীরে ধীরে। এ ছাড়াও শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখার জন্য পরিচিত ফল হচ্ছে নাশপাতি।
কমলালেবু
কম ক্যালরির ফল কমলা। প্রতি ১০০ গ্রাম কমলায় ক্যালরির পরিমাণ ৪৭। শরীরের ক্ষতিকর ক্যালরিগুলো থেকে আপনাকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এই ফল। সহজ ভাষায় বলা যায় এই ফল আপনার অনেক ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ব্লুবেরি
উত্তর আমেরিকার এক ধরনের ফল হলো ব্লুবেরি। জনপ্রিয় এই ফলটি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে ব্লুবেরি। নিয়মিত এই ফল খেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়।
স্ট্রবেরি
শুধু দেখতে সুন্দর নয় ফলটিও ওজন কমানোর জন্য বেশ কাজের। শরীরে চর্বি কমানোর হরমোন এডিপোনেকটিন এবং লেপটিন তৈরিতে স্ট্রবেরি কাজ করে।
পিচ
ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন এসব খাবার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। তাজা ও টাটকা এসব ফল লো-ক্যালরির। নিয়মিত এসব খেলে অন্য খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস কমে আসবে। সকালে নাশতা, দুপুরে সালাদ এবং রাতে ডেজার্ট হিসেবেও এসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সারা দিনে খাওয়া যেতে পারে।