লাইফস্টাইল:
স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল রেসিপির উপাদানগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর রান্নার অভ্যাস অবলম্বন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যা আমাদের দেহে পুষ্টিগত উপাদানের পরিমাণ বাড়াতে এবং দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বেরিয়ে আসতে সহায়তা করবে।
শুধু বেঁচে থাকার জন্য রোগমুক্ত স্বাস্থ্যের বদলে বরং সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবান দেহ অর্জন করতে চাইলে স্বাস্থ্যকর রান্নার মৌলিক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
পুষ্টিবিদ কারিশমা চাওলা এমন কিছু রান্নার টিপস দিয়েছেনঃ
- ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই খাওয়া ভালো।
- মটরশুটি ও শিমজাতীয় খাদ্য অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে বা রান্না করে খেতে হবে।
- শাকসবজি সেদ্ধ করে বা ভেজে খেতে হবে।
- মাছ, মাংস এবং পোলট্রি সেদ্ধ করে, ভেজে এবং মাঝে মাঝে সাঁতলিয়েও খাওয়া যায়।
- শস্যদানা আস্ত খান।
- মিহি ময়দা এড়িয়ে চলুন।
- আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তার দুই তৃতীয়াংশই প্রক্রিয়াজাতকৃত। ফলে আমাদের দেহে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। সুতরাং যতট সম্ভব প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- চিনি এবং উচ্চ প্রক্রিয়াজাতকৃত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। এসব খাবার পুষ্টি উপাদানে শূন্য এবং উচ্চ ক্যালোরিপূর্ণ। এগুলো হজমের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান খরচ হয় যার ফলে দেহের সংরক্ষিত পুষ্টি উপাদানে ঘাটতি দেখা দেয়।
- মাংস এবং শাকসবজি বেশি সেদ্ধ করলে এতে থাকা ভিটামিন বি গ্রুপ, সি এবং ই উপাদানগুলো বাষ্প বা ধ্বংস হতে পারে।
- মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করলে ভিটামিন বি ৬ উপাদান নষ্ট হতে পারে।
- ভাজাপোড়া বাদ দিতে হবে। ভাজাপোড়ার ফলে খাদ্যে উচ্চ বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় যা দেহকে ধ্বংস করে।
- চিনির পরিবর্তে ফলমূল ব্যবহার করুন। যেমন শস্যদানা জাতীয় খাদ্যকে সুমিষ্ট করার জন্য এতে ফলমূল ব্যবহার করতে পারেন। বাদাম বা শুকনো ফলও ব্যবহার করতে পারেন।
- রান্নার জন্য সবচেয়ে উত্তম তেল হলো রাইসব্র্যান, চীনেবাদামের তেল এবং অলিভ অয়েল।
- রান্নার সময় লবণের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমাতে হবে। তার চেয়ে বরং গোলমরিচ জাতীয় মসলা ব্যবহার করুন। পুদিনা, সেলারি, সুগন্ধি লতা বা ওরেগানোর মতো ওষধি গাছ-গাছড়া বা গুল্ম-লতা ব্যবহার করতে পারেন।
আর মনে রাখবেন সঠিক খাদ্য বাছাই এবং সঠিক পদ্ধতিতে সে খাদ্য রান্না করলে আপনার দেহের বিকাশও হবে সঠিকভাবে। যা আপনাকে আরো স্বাস্থ্যবান, আরো শক্তিশালি এবং জীবনযাপনের ধরন থেকে সৃষ্ট রোগ-বালাই থেকে মুক্ত রাখবে। সুতরাং খাদ্যাভ্যাসে সাবধানী হন এবং আনন্দময় জীবনযাপন করুন।.