স্বপ্নযোগে রাসূল (সা.)-এর সাক্ষাৎ নসিব হবার উপায়

ইসলাম ডেস্কঃ হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ্‌তায়ালা  পবিত্র কুরআনে কারিমে আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন। সূরা ফাতাহ এর ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘ আমি তোমাকে (নবী) প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাত ও সতর্ককারীরূপে। যাতে  তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং তোমরা রাসূলকে শক্তি যোগাও তাকে সম্মান করো।’

সূরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছেঃ  আল্লাহ্‌ এর নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ  প্রার্থনা করো ও তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ মহাগ্রন্থ  কুরআনে কারিমে আল্লাহ্‌তায়ালা মাছ, গাছ, নদ-নদী, পাহাড়, সমুদ্র, ফল-ফলাদি, বিয়ে-শাদি, গর্ভধারণ ও সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে এমন কোনো বিষয় নেই যার বর্ণনা কুরআনে  নেই।  সূরা কামারের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌তায়ালা বলেন,  ‘আমি কুরআনকে  সহজ করে দিয়েছি তোমাদের মধ্যে উপদেশ নেয়ার মতো কেউ কি আছে?’  সূরা আন নিসার ৮০ নম্বর আয়াতে  ঘোষণা করা হয়েছে,  যে হজরত রাসূল (সা.)-এর আনুগত্য করল সে আল্লাহ্‌র আনুগত্য করল।

হাদিসে তাগাদা দেয়া হয়েছে,  যে ব্যক্তি জান্নাতে এবং হাশরের  মাঠে হজরত রাসূল (সা.) সঙ্গে থাকতে ইচ্ছা পোষণ করে সে যেন বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে।  সুনানে তিরমিজির হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আগুন সেই মুসলিমকে স্পর্শ  করবে না যে আমাকে দেখেছে।’  অন্য হাদিসে এসেছে, যে বেশি বেশি দুরূদ পাঠ  করবে হজরত রাসূলে কারিম (সা.)- এর সুপারিশ তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যাবে।  স্বপ্নযোগে হজরত রাসূল (সা.)-এর (সাক্ষাৎ) নসিব হবে।  আর যে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম  উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে দরূদ পাঠ করে না সে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি বখিলতা  বা কৃপণতা প্রদর্শন করল।  মেশকাত ও বায়হাকি শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূলে আকরাম (সা.) ইরশাদ করেন,  যে বক্তি আমার কবরের নিকট দাঁড়িয়ে আমার  ওপর দরূদ পাঠ করে আমি তা শুনে থাকি,  আর যে ব্যক্তি দূর হতে আমার ওপর দরূদ পাঠ করে  তা আমার  নিকট পৌঁছানো হয়।

Facebook
Twitter
WhatsApp