নিউজ ডেস্ক ~যতই লেখালেখি হোক, আর কড়াকড়ি হোক। কিছুতেই থামছে না ক্যাবচালকদের দৌরাত্ম্য। ফের ওলাচালকের হয়রানির শিকার এক যুবতী। গাড়ির দরজা লক করে চালক তাঁর সঙ্গে চূড়ান্ত অভদ্রতা করেছে বলে অভিযোগ।
বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত এলাকার ঘটনা। তখন রাতও খুব বেশি নয়। সবে ৯টা। বেঙ্গালুরুর মতো জায়গায় এটা মোটেই অনেক রাত নয়। ভিট্টাল মালয়া রোড থেকে একটি ওলায় চাপেন উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা কৃতি (নাম পরিবর্তিত)। তিনি পেশায় আইনজীবী।
প্রথম সব ঠিকঠাকই ছিল। হেব্বাল ফ্লাইওভার ধরার সঙ্গে সঙ্গেই স্বমূর্তি ধারণ করে ওই ওলাচালক। তার যাওয়ার কথা ছিল সোজা, কোডিগেহাল্লির দিকে। তবে, সেদিকে না গিয়ে বাঁদিকে ঘুরে আউটার রিং রোডের দিকে গাড়ি এগোতে থাকে।
কৃতি জানিয়েছেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই যখন ওই চালক আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, আপনি মদ্যপান করেন? এখানেই শেষ নয়। এরপর শুরু হয় ওর একের পর এক অযাচিত প্রশ্ন। আপনি কি গৃহবধূ? আপনার বাড়ি ফিরতে এত রাত কেন হল? এরপর সে বলতে থাকে, তার বয়স ২৫। আমি নিশ্চয়ই তার থেকে খুব-একটা বড় নই।
এরপর দুটি গলি ছেড়ে সিগনালের কাছে গিয়ে সে মোড় ঘোরে। আমি তখন ওকে হুমকি দেয়া শুরু করেছি। বলতে থাকে, আমায় বাড়ি পৌঁছে দাও, নইলে বন্ধুদের ফোন করে ডাকব। পুলিশ ডাকব। ভয়ে আমি মাকে আর বন্ধুদের ক্যাবের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে SMS করে দিই।’
তবে, কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না ওই ক্যাবচালককে। সে হঠাত্ই মারিয়ামপাল্লির কাছে গাড়ি থামিয়ে কৃতিকে গাড়ির ভেতরে আটকে দরজা লক করে দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি সিগারেট কিনে ফিরে আসে। কৃতিকে সে জোর করে একটা সিগারেট খাওয়ায়।
এতকিছুর পর আমার বাড়ির কাছে এসে একটা ফাঁকা জায়গায় ও গাড়িটা থামায়। কৃতি নামার পরই তার থেকে ফোন নম্বরও চায় ওই চালক। দুঃস্বপ্নের এই সফরের রেশ কৃতিকে টানতে হয় পরের দিনও। তিনি আগের দিন যে নম্বর থেকে ক্যাব বুক করেছিলেন, সেই মোবাইল নম্বরে ফোন করে অভিযুক্ত।
ওলা কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলে, তারা ওই চালককে বরখাস্ত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিবহন ক্ষেত্রের জয়েন্ট কমিশনার জ্ঞানেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলে অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে ।