চিত্র বিচিত্র ডেস্ক, অনলাইন আপডেট – আচ্ছা, ১০ বছরের বাচ্চার ওজন স্বাভাবিকভাবে কত হওয়া উচিত? হিসেব মতো, ৩১-৩৫ কেজি মানানসই। তবে ৪০-৪৫ কেজি হলেও খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। স্বভাবতই মোটা বাচ্চাদের ওজন এমনটা হতে পারে। আর যদি ওজন হয় ১৯২ কেজি তবে নিশ্চয়ই বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হবে। বিশ্বাস করতে কয়েক বার ভিমড়ি খেতে হবে।
আর্য পারম্যানা। ১০ বছর বয়সের শিশু। এ পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও আপনি চমকে উঠবেন এই শিশু সম্পর্কে আরেকটি তথ্য জানলে! ইন্দোনেশিয়ার আরাওয়াং রিজেন্সির সিপুরওয়াসারি গ্রামের এই শিশু আর দশটা শিশুর মতো নয়। শিশুটির ওজন ১৯২ কেজি। ছোট বেলা থেকে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা শিশু বলা হচ্ছে পারম্যানাকে।
জরুরি ডায়েটে থাকা স্থুলকায় এই শিশুর চিকিৎসকরা শিশুটির জীবনকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা বলছেন, যথাযথভাবে ডায়েট করা না গেলে যে কোনো সময় না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে পারে সিপুরওয়াসারির এই শিশু।
১৯২ কেজি ওজনের এই শিশু এতটাই মোটা যে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। শুধু তাই নয়, স্কুলও যেতে পারেন না পারম্যানা। তার বাবা বাজারে ছেলের জন্য কাপড় খুঁজলেও তা পাননি। স্থানীয় ভাষায় সারং নামের এক ধরনের পোশাক পরেন; যা লুঙ্গির মতো।
এই শিশু এতটাই মোটা যে, স্বাভাবিকভাবে শুয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘুমাতে হয় তাকে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে মোটা এই শিশুকে দেখতে আশ-পাশের গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত আসেন প্যারমানার বাড়িতে।
আর্য প্যারম্যানার মা রোকাইয়াহ বলেন, দিনে পাঁচবার পুরো পেট খাবার খায় আর্য। সম্প্রতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে স্বাস্থ্যবান বলে জানায়। পরে আর্যর মা চিকিৎসকের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে জানানো হয়, ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যার কিছু নেই।
রোকাইয়াহ বলেন, রমজানে অন্যান্য শিশুদের মতো আর্যও অর্ধেক বেলা উপবাস থাকে। এর আগে রোজা রাখার চেষ্টা করলে আর্যর পেটে ব্যথা দেখা দেয়। তখন থেকে রমজান মাসে অর্ধেক দিন না খেয়ে থাকেন আর্য।