চিত্র বিচিত্র ডেস্কঃ
অমরত্বের খোঁজে মানুষ খ্যাপার পরশমণি সন্ধানের মতো খুঁজে ফেরে অমৃতভাণ্ড। কিন্তু জানেন কি‚ প্রকৃতি নিজের থেকেই এক প্রাণীকে দিয়ে রেখেছে সেই অমৃত।তার জোরে সে অনেকটাই শাশ্বত‚ অমর‚ মৃত্যুহীন। সেই প্রাণী হল Turritopsis Nutricula প্রজাতির জেলিফিশ।
ভূমধ্যসাগরে এদের প্রথম মানুষ দেখতে পায় ১৮৮৩ সালে। তবে এদের আশ্চর্য ক্ষমতা অজানা ছিল নয়ের দশক অবধি। এখন বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন‚ ৪-৫ মিলিমিটার লম্বা এই প্রাণী পৃথিবীর কোলে একমাত্র অমরত্বের ধারেকাছে পৌঁছতে পেরেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে‚ যখন বিপদ আসে‚ বা খাদ্যসঙ্কট দেখা দেয়‚ তখন এই জেলিফিশ উষ্ণ মহাসাগরীয়স্রোতে গিয়ে সমুদ্রতলের সঙ্গে নিজেকে আটকে একটা পিণ্ডে রূপান্তরিত হয়।
তারপর এদের কোষ পরিবর্তিত হতে থাকে। অর্থাৎ পরিণত কোষগুলো ফিরে যায় শৈশবে।মাসল সেলগুলো পরিবর্তিত হয় স্পার্ম বা ডিম্বাণুতে। নার্ভ রূপান্তরিত হয় মাসল সেলে। ফলে জীবনচক্রের উজানে হেঁটে দীর্ঘায়ুর অধিকারী হয়।
তবে মৃত্যুকে সম্পূর্ণ এড়ানো তো যায় না। তাই এই জেলিফিশকেও শেষের মুখোমুখি হতে হয়।কোষবদলের ক্ষমতা তাদের তখনই আসে যখন সে পূর্ণবয়স্ক হয়। বংশবিস্তারে সক্ষম হয়। তার আগে নয়। ফলে শিশু জেলিফিশ কুঁড়িতেই বিনষ্ট হয়ে যায়‚ যখন সেটি অসুস্থ হয় বা অতর্কিতে চলে আসে কোনও খাদক প্রাণী।
বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন। যাতে এই Turritopsis Nutricula Jellyfish-এর কোষবদলের খেলা মানুষের বৃদ্ধবয়স বা অসুস্থতার মোকাবিলায় আরোপ করা যায়।