দিনরাত কেন তাকে পাহারা দেয় বন্দুকধারী রক্ষীরা জানেন তা?


চিত্র বিচিত্র ডেস্কঃ

প্রায় রাজকীয় সুরক্ষা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো দিনরাত সুরক্ষা বলয়ে ঘেরা থাকে সুদান। হিটলিস্টে তার নাম রয়েছে। একলা পেলেই সুদানকে খুন করতে একটুও হাত কাঁপবেনা ঘাতকদের। কোটি কোটি টাকা তার দাম। তাই চিন্তিত কেনিয়া সরকার সর্বক্ষণের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। এক মুহূর্তের জন্য একলা ছাড়া হয়না দুনিয়ার সর্বশেষ সাদা গণ্ডার সুদানকে।

পৃথিবীতে এক শিং ও দুই শিং ওয়ালা ধুসর গণ্ডার পরিচিত। কিন্তু সাদা গণ্ডার বিরল। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে সুদানই হল এই মুহূর্তে বিশ্বের বিরলতম সাদা প্রজাতির একমাত্র পুরুষ গণ্ডার। ফলে চোরাশিকারীদের লোলুপ দৃষ্টি তার উপরে রয়েছে।

১৯৭৩ সালে তৎকালীন সুদানের সাম্বে-তে জন্ম হয়েছিল এই সাদা গণ্ডারটির। দেশ ভাগ হয়ে সাম্বে এখন দক্ষিণ সুদানের অন্তর্গত। তবে সাদা গণ্ডারের নাম পাল্টায়নি। সুদান নামেই সে পরিচিত। জন্মের এক বছর পর সুদানকে চেক প্রজাতন্ত্রে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে তাকে আনা হয় কেনিয়াতে। তখন থেকেই স্থানীয় একটি সংরক্ষণশালায় রয়েছে সাদা গণ্ডার সুদান। দুনিয়ায় একমাত্র সাদা পুরুষ গণ্ডার সে। তার সঙ্গে রয়েছে দুটি স্ত্রী গণ্ডার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৪২ বছর বয়সী সুদান ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। তার প্রজনন ক্ষমতা কমে গিয়েছে। ভবিষ্যতে ফের সাদা গণ্ডার জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনাও ক্রমশ কমে আসছে। সাদা এই পুরুষ গণ্ডারটির সুশ্রসার জন্য সর্বক্ষণ রয়েছেন চিকিৎসকরা। তার ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে দিনের কোন মুহূর্ত সুদানকে একলা ছাড়া হয়না। তাকে ঘিরে থাকেন স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রক্ষীর দল। না জনিয়ে সাদা সুদানের দিকে কারও যাওয়ায় রয়েছে নিষেধজ্ঞা। সন্দেহজনক কারও আগমন হলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেনিয়া সরকার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সাদা গণ্ডার মিলত। তারপর কমে আসছে সেই সংখ্যা। একেতো দুর্লভ প্রজাতি তারপর আবার কালো শিং। সবমিলে চোরাশিকারীদের নজর রয়েছে সাদা গণ্ডার সুদানের দিকে। নিরাপত্তার একটু ফাঁক পেলেই তার সাদা চামড়া ও শিং কেটে নিতে একটুও হাত কাঁপবেনা। তাই চিন্তিত কেনিয়া সরকার। জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হচ্ছে আফ্রিকার এই দেশটি। তবুও সাদা সুদানকে রক্ষায় কড়া সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
WhatsApp