চার ঘন্টার চেষ্টায় ৩২ কেজির অবিশ্বাস্য টিউমার অপসারণ !

চিত্র-বিচিত্র ডেস্ক:
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার এক নারীর জরায়ুতে টিউমার হওয়ার পরও তাকে গুরুত্ব দেননি। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার পরও চিকিৎসা করতে অস্বীকার করছিলেন বহুদিন ধরেই। আর এ সময়ে তার টিউমারটি এতই বড় হয়ে গিয়েছিল যে তা অবিশ্বাস্য রকমের ভারি হয়ে ওঠে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সেই নারীর নাম স্টোজা পপোভিক। তিনি এর আগে শরীরের মাঝে টিউমারটির অস্তিত্ব টের পাননি। তবে দেহের ওজন বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করেছিলেন। এমনকি চিকিৎসকের কাছে যেতেও অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি মনে করেছিলাম আমার দেহের ওজন বেড়ে গিয়েছে। এরপর আমি বুঝতে পারে এখানে কোনো একটি গণ্ডগোল আছে। আমার ব্যথা হচ্ছিল…. তবে তার পরও আমি স্বাভাবিকভাবে থাকার চেষ্টা করছিলাম।’
তবে এরপর মাঠে কাজ করার সময় তিনি ব্যথা পান। এরপর প্যারামেডিকরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।
সারায়েভোর বসনিয়ান ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকরা তার পায়ের আঘাতকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি। তবে তারা তার সেই টিউমারটি নির্ণয় করে তা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর দ্রুত তারা সেই টিউমারটি অপসারণ করেন।
৬৮ পাউন্ড ওজনের টিউমারটি তার সম্পূর্ণ জরায়ুজুড়ে ছিল। এছাড়া এটি তার দেহের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের সময় টিউমারের সঙ্গে তার জরায়ুও অপসারণ করতে হয়। চার ঘণ্টার অপারেশন শেষে চিকিৎসকরা এ সাফল্যের কথা জানান। এছাড়া আরও কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হবে।
তবে চিকিৎসা শেষে সেই নারী জানিয়েছেন, ‘আমার পায়ে আঘাত না লাগলে আমি কখনোই চিকিৎসকদের কাছে যেতাম না।’
Facebook
Twitter
WhatsApp