চিত্র বিচিত্র ডেস্কঃ
210″ src=”https://www.bengalieye.com/wp-content/uploads/2016/06/news_picture_32611_tree” alt=”news_picture_32611_tree” width=”557″ height=”348″ />ছোটবেলায় কত শুনেছি, ‘টাকার গাছের কথা’। গল্প কথাই হোক কিংবা ঠাট্টা মশকরা অথবা খুব রাগে ঠোঁট থেকে অনর্গল বেড়িয়ে আসা অনেক বাংলা প্রবাদ বাক্যের মত এটিও একটি। রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যেতে যেতে শপিং মলের পরনে থাকা জামা, জুতোটা নিজের করে নিতে বড্ড ইচ্ছা, কখনো বাবা, কখনো মা কখনো দাদি, কখনো প্রিয় মানুষের কাছে আবদার, কেউ না দিলে শেষে নিজের পকেটে হাত, তাও না হলে যেটা সব থেকে আগে মনে আসত, ইশ, যদি, ‘আমার একটা টাকার গাছ থাকত’!
কখনো রেগে গিয়ে তো নিজেও ছোটদের আবদার মেটাতে ব্যর্থ হয়ে বলেছি, ‘আমার কাছে কি টাকার গাছ আছে’? পৃথিবীর কাউর কাছেই টাকার গাছ আছে বলে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।, যদি যেত তাহলে ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে বলতে পারি ৭ দিনের খবরের পাতার একটাই শিরোনাম হত, ‘টাকার গাছ’। বাজি ধরে বলতে পারি, শার্লকহোমস থেকে কিরিটি বাবু, গোয়ান্দাদের সবথেকে রহস্যময় সন্ধান হত, এই টাকার গাছের খোঁজ। টাকার গাছ পাওয়া যায়নি। তবে যেটা পাওয়া গেল। তা নিয়ে বিশ্বের বিস্ময়ও কম নয়। গাছের শরীরে বাঁকলের মতোই বেড়িয়ে আসছে অসংখ্য কয়েন।
আমেরিকার উডল্যান্ড। স্কটিশ হাইল্যান্ডের অরণ্যে কয়েনে আবৃত গাছ দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিলেন সবাই। পরে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের যৌথ পর্যবেক্ষণ ও দীর্ঘ সময়ের নিরীক্ষণের পর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ঠিক এই রকম, এমনটা কার্যত অসম্ভব। স্কটিশ হাইল্যান্ডের মানুষ নিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য ওই গাছে কয়েনকে পেরেকের মত আটকে দিতেন। এটা বহু দিন ধরেই চলে আসছে। ১৭ শতকের শেষের দিকেও এই ‘ইচ্ছাপূরণ গাছে’র উল্লেখ ছিল। এমনকি রানি ভিক্টোরিয়াও এই গাছ দেখার কথা বলেছিলেন, সালটা ছিল ১৮৭৭।