অস্ত্রোপচারের পর এবার মারাত্মক অভিযোগ তুললেন সেই মোটা নারী ইমানের বোন!

অনলাইন আপডেটডেস্ক: বিশ্বের মোটা নারী ইমান আহমেদ। বাড়ি মিসরে। ওজন ছিল ৫০০ কিলোগ্রামের চেয়ে খানিকটা বেশি। চিকিৎসক মুফজ্জল লাকড়াওয়ালা ইমানের অস্ত্রোপচারের কথা বিষয়ে একটি অনলাইন প্রচার চালিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ। সেই সাধু উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবরকম পরিস্থিতিতে ইমানের পাশে থাকার। মুম্বাইয়ের সইফি হাসপাতালে শুরু হয় ইমানের অস্ত্রোপচার। দুই মাসে প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম ওজন কমে ইমানের। এরপরই মারাত্মক অভিযোগ আনলেন ইমানের বোন শাইমা সেলিম। জানালেন, ভারতীয় চিকিৎসকরা ইমানকে সঠিক পথে চিকিৎসা করছেন না। ইমানের সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়েও মিথ্যা বলছেন তারা। এরপরই তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন চিকিৎসক মুফজ্জল লাকড়াওয়ালার দিকে।

মার্চে স্লিভ গ্যাসস্ট্রোস্টমি অস্ত্রোপচারের সময়ে ইমানের পাকস্থলীর খানিকটা অংশ কেটে বাদ দেয়া হয়। বাদ দেয়া হয় অতিরিক্ত ফ্যাট। এর ফলে কমে যায় খাদ্যগ্রহণের পরিমাপ। পরবর্তীতেও বেশ কয়েকটি বেরিয়াট্রিক সার্জারি জরুরি বলেও জানান চিকিৎসকরা।

কিন্তু শাইমার দাবি, ইমান একটুও সুস্থ হননি। গত দেড় মাস ধরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। আরো একটি মারাত্মক অভিযোগ করেন শাইমা। তার ভাষ্য, ভুল ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বন্ধ করে রাখা হয়েছে ইমানের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে শাইমা বলেন, ইমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার চোখ-মুখ নীল হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হয়েছে তার।

এমনকী, মুম্বাইয়ে আসার পর বেশ কয়েকবার মৃগীর আক্রমণে খিঁচুনিও দেখা দিয়েছিল তার। থ্রম্বোসিসের আক্রমণের কথাও বলেন তিনি। ফিডিং টিউব ব্যবহার করায় ইমান নিশ্বাস নিতে পারছেন না।

যদিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লাকড়াওয়ালা। তিনি জানান, ইমানের স্নায়ুবিক পরিস্থিতি দেখতে সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে তার। ইমানকে মিসরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন না শাইমা। তাই তিনি মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। কারণ চিকিৎসা শুরুর ১৫ দিন পরেই হাসপাতাল থেকেই বলা হয়েছিল ইমানকে মিসরে নিয়ে যেতে পারেন শাইমা। তবে আর্থিক কারণেই তা চান না। ইমানের অস্ত্রোপচারের পরই দ্রুত সুস্থ হতে থাকেন তিনি।

ওজন কমতে থাকে। তার দাবি, বর্তমানে ইমানের ওজন ১৭১ কিলোগ্রাম। তার কিডনি, হার্ট (হৃদযন্ত্র)ও ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সঠিক ফিজিওথেরাপির সাহায্যে নিলে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ইমান নিজে চলাফেরা করতেও সক্ষম হবেন।

Facebook
Twitter
WhatsApp