স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
দীর্ঘ ১১ মাস ঘুরে মুসলমানদের মাঝে এসেছে আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে চলে আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর এই মাস আসায় মানুষের চিরাচরিত অভ্যাসগুলো পাল্টে যায়। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে খাদ্যাভ্যাসে। প্রথমদিকে এই খাদ্যাভ্যাস মানিয়ে নেয়া অনেকটা কঠিনই হয়ে পড়ে। তবে কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
খাদ্যাভ্যাস যেমন হওয়া উচিত:-
দিনভর রোজা রেখে অনেকেই ইফতারিতে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ ও তেলযুক্ত খাবার খান। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর এধরনের খাবার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে পরিপাকে সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেজন্য যতটা সম্ভব এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
খাবারে লবণ পরিমাণ মতো খান। কেননা, লবণ বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বেশি লাগবে। অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানিশূন্যতা বেড়ে যেতে পারে।
সারাদিন রোজা রাখার কারণে পানির চাহিদা মেটাতে অনেকেই অতিরিক্ত চিনি দিয়ে শরবত খেয়ে থাকেন। চিনির ওপর যতটা সম্ভব নির্ভরতা কমিয়ে আনুন।
ইফতার ও সেহরিতে যতোটা সম্ভব ফল ও শাক-সবজি রাখুন। এর সঙ্গে দুধ, পানি, স্যুপ বা ফলের জুস খাবেন। কারণ সারাদিন অভুক্ত থাকার পর স্বাস্থ্যসম্মত ও সুষম খাবার পরিমিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। অতিরিক্ত খাবেন না। এতে আপনার খাবার পরিপাকে সহায়তা করবে।
সারাদিন পানি না খাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। ইফতারের পর সময় নিয়ে নিয়ে অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করুন।
অনেকেই সেহরি না খেয়ে রোজা রাখেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়। কেননা,না খেয়ে রোজা রাখতে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সন্ধ্যার দিকে ক্যাফেইন জাতীয় কোনো পানীয় অর্থাৎ চা, কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় বা কোল্ড ড্রিংস যেমন কোক, পেপসি ইত্যাদি পান করবেন না। যেখানেই থাকুন বেশি করে পানি পান করুন।
যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে:-
অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া খাওয়া, খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার না থাকা ও পানি কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
বেশি ভাজা পোড়া, মশলাযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাদ্যগ্রহণের কারণে পেট ফাঁপা ও হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঠিকভাবে ঘুম না হলে, অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে ও চা-কফি-ধূমপানের অভ্যাস থাকলে মাথাব্যথা হতে পারে।
অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা আছে সারাদিন না খাওয়ার কারণে বেড়ে যেতে পারে।