স্বাস্থ্য ডেস্ক, অনলাইন ডেস্ক:
চলতি বছরে বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই তাপমাত্রার পারদ চরমে পৌছেছে। সেই সঙ্গে ভ্যাপসা গরম তো আছেই। এসব থেকে মুক্তি পেতে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা পানীয়কেই বেঁছে নিচ্ছেন মানুষ। কিন্তু আপনি জানেন কি ? এভাবে নিজের বিপদ আপনি নিজেই ডেকে নিয়ে আসছেন? প্যাকেট লাচ্ছি, ডায়েট সোডার মতো পানীয়গুলি অজান্তেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে মারাত্মক ধরনের সব রোগ। এগুলি স্মৃতিশক্তির উপর দারুণভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকী হতে পারে হৃদরোগও।
চা পান করছেন সঙ্গে বাদ দিচ্ছেন চিনি। বাদ সবরকম মিষ্টি। মোটা হওয়ার ভয়ে অনেকেই আপন করে নিয়েছেন কৃত্রিম মিষ্টিকেই। খাচ্ছেন ডায়েট সোডা কিংবা ‘সুগার ফ্রি’ সন্দেশ- আর বাহারি প্রকারের মিষ্টি। বাজার চলতি বহুল প্রচলিত নামী ব্র্যান্ডের ঠান্ডা পানীয় কিংবা প্যাকেটজাত লাচ্ছিও হতে পারে আপনার স্মৃতি হারানোর প্রধান কারণ। চায়ে চিনির পরিমাপ বা কতগুলো চকলেট খেয়ে ফেলছেন লোভ সামলাতে না পেরে, তা কিন্তু জরুরি নয়। জরুরি হল লুকিয়ে থাকা সেই ‘হিডেন সুগার’-কে খুঁজে বের করা। ডায়েট সোডায় স্মৃতি হারানোর সম্ভাবনা প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পায়।
কোল্ড ড্রিঙ্কস কিংবা বাজারজাত ফলের রস ছাড়াও কেক, বিস্কুট, সস সবকিছুতেই রয়েছে কৃত্রিম মিষ্টি। প্রতিটিতেই রয়েছে স্মৃতি হারানোর বীজ। এগুলি মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম মিষ্টিতে হতে পারে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ, বাড়ে হৃদরোগের সম্ভাবনা। বাড়ে স্মৃতি হারানোর প্রবণতা।
গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ডায়েট সোডা কিংবা ঠান্ডা পানীয় নিয়মিত পান করলে ব্রেন স্ট্রোক ও স্মৃতি হারানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সমীক্ষা সূত্রে দেখা গেছে, যারা প্রতিনিয়ত ঠান্ডা পানীয় পান করেন, তাদের মধ্যে অলসতা বাসা বাঁধে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। ডায়েট সোডায় মস্তিষ্কের আয়তন কমে যায়। বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাল এলাকা ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়।
ইসকেমিক স্ট্রোক (রক্তবাহ যেখানে জমাট বেঁধে যায়) কিংবা অ্যালঝাইমার রোগের সম্ভাবনা বাড়ে নিয়মিত এই জাতীয় ঠান্ডা পানীয় পান করলে। প্রায় ৪৫০০ জন তিরিশোর্ধ্ব ব্যক্তির মস্তিষ্কে এমআরআই করা হয়েছে। এরপরই ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা কিংবা স্মৃতিশক্তি পরখ করে দেখা হয়। প্রায় ৩ হাজার রোগীর মস্তিষ্কে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনার স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেছে।
