স্বাস্থ্য ডেস্ক: পেশি সংকোচন যা প্রচলিত অর্থে পেশিতে ‘টান খাওয়া’ বোঝায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত পেশি টানটান করলে কিংবা ‘টান’ খাওয়া স্থানে মালিশ করার চাইতে লবণ পানি, শীতল পরশ বা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার হতে পারে সহজ সমাধান।
49411″ src=”http://www.bengalieye.com/wp-content/uploads/2016/10/pasi” alt=”pasi” width=”500″ height=”343″ />
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, শরীরচর্চা, খেলাধুলা, শারীরিক পরিশ্রম যারা বেশি করেন তাদের এই পেশিতে ‘টান’ খাওয়ার ব্যাপারটা বেশি ঘটে। আবার যারা পরিশ্রম করেন কম তাদেরও হঠাৎ এই সমস্যা হতে পারে। যেভাবেই হোক না কেন সমাধান রয়েছে হাতের মুঠোয়।
◘ লবন পানি : পেশি শিথিল করতে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে লবন পানি। উপকার পেতে লবন পানিতে গোছল করা যেতে পারে।
◘ শীতল করা : ঠান্ডা ব্যথার অনুভুতি ভোঁতা করে, জ্বালা ভাব কমায় এবং আক্রান্ত মাংসপেশি শিথিল করে। পাশাপাশি রক্তনালীর পুনঃবিন্যাস করে ব্যথা কমায়। পাতলা তোয়ালেতে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরলে অনেকটা উপশম মিলবে।
◘ হলুদ সর্ষে : কয়েক মিনিটে পেশির টান সারাতে পারে হলুদ সর্ষে। এতে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড যা ‘অ্যাসিটোলকোলিন’ তৈরিতে সাহায্য করে। যা ‘নিউরোট্রান্সমিটার’ হিসেবে পেশির কর্মকান্ড পরিচালনায় সাহায্য করে।
◘ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার : ঘন ঘন পেশিতে টান পড়ার অন্যতম কারণ পটাশিয়ামের অভাব। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে থাকে শরীরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী পুষ্টি উপাদানগুলো।
অনেকেরই রাতের বেলা পায়ের পেশিতে টান পড়ে। তার থেকে বাঁচতেও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের। এক টেবিল-চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, মধু ও ক্যালশিয়াম ল্যাক্টেট- এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিরাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
◘ লবঙ্গ তেল : পেশি ফোলা রোধ করে লবঙ্গ তেল। পাশাপাশি এর অ্যানাস্থেটিক বা অনুভূতিনাশক উপদান ব্যথা উপশম করে। টান পড়া পেশিতে কুসুম গরম লবঙ্গ তেল দিয়ে বেশ কয়েকবার মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।