পেট ভালোর রাখার ৪ পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক : পেট ভালো থাকার সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক সরাসরি। পেট ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। পেট ভালো থাকলে শরীর, মন, মেজাজ—সবই ভালো থাকে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে পেট ভালো রাখা জরুরি।
উপকারী ব্যাকটেরিয়া
খাদ্যনালিতে কিছু ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে, যেগুলো সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে যায় বা যেতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক হজম, পুষ্টির শোষণ ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে। তাই উপকারী ব্যাকটেরিয়াসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: গাঁজানো খাবার, দই, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া উচিত।
সঠিক আঁশজাতীয় খাবার
আঁশজাতীয় খাবার সঠিক হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সব আঁশজাতীয় খাবার সমান নয়। অনেক প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারে আঁশ থাকে। কিন্তু সেসব আঁশ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর আঁশ, যেমন: টাটকা শাকসবজি, মটরশুঁটি, ফলমূল ইত্যাদি গ্রহণ করা উচিত।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক নয়
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভালো-খারাপ সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যা-ই হোক, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে খারাপের সঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর হওয়ার কারণে কিছু সুবিধাভোগী এবং অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া পেটে সংক্রমণ করতে পারে। তাই প্রয়োজন ছাড়া
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়।
নিয়মিত ব্যায়াম
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে পেটের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ, মেজাজ ও পেট ভালো থাকে।

Facebook
Twitter
WhatsApp