নিজস্ব প্রতিবেদক, সময়ের কন্ঠস্বর:
গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা মাত্র চার (৪) মাসের কোর্সের ওষুধ খেয়ে স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এতে করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এ ওষুধ খাওয়ার প্রবনতা দিন-দিন বেড়েই চলছে।
কোর্স অনুযায়ী ও নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ খেলে স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের কানজিলা গ্রামের মাসুদ মিয়ার সাথে দুরদুরান্ত থেকে ডায়াবেটিস রোগীরা যোগাযোগ করছেন তার সাথে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে মাসুদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লা পাড়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা অানিস মিয়া তার বয়স বর্তমানে ৫০এর অধিক। তিনি বলেন, তার বয়স যখন ৪০ বছর তখন থেকেই তার ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে বলে সে জানতে পারে। প্রথমেই ২৭/২৮ পর্যন্ত ডায়াবেটিস থাকতো। সব সময় মাথা ঘুরানো সহ শরীর অসুস্থ্য থাকতো। কোন প্রকার কাজ কর্ম তার ভাল লাগতো না ও পরিষদের কোন উন্নয়নের জন্য সে কোথাও যেতে পারতো না। অনেক চিকিৎসা সেবা এমনকি ইন্সুলেন্সও নিয়েছেন তিনি। অনেক বছর ধরে কত চিকিৎসা করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারছিলেন না। পরে, তিনি জানতে পারলেন মাসুদ মিয়ার গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী ওষুধের কথা। এর পর তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন পরে তার সমস্যার কথা তিনি খুলে বলেন মাসুদ মিয়ার কাছে। এবং এখান থেকে ওষুধ নিয়ে খেতে থাকেন। ৩ মাসের কোর্স ফাইল খাওয়ার পরপরই তার শরীর এখন অনেকটা সুস্থ।
বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নেমে ৩/৪ এ কাছে চলে এসেছে। তিনি আরো জাননা, এটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কবিরাজ বলেছেন পুরো ৪ মাস খেতে হবে। তাই আমি এখন আরো ১ মাসের জন্যই আমি অর্ডার দিয়েছি। এখন আমি সাংসারিক সহ পরিষদের সকল প্রকার কাজ কর্ম করতে পারি এবং হাটা চলা করতে পারি। তা ছাড়া অার কোন ওষুধ লাগে না অামার এখন।
এ ছাড়াও, সৌদির জয় হোসেন ও কুয়েতের অপু সরকারের সঙ্গে কথা হলে মুঠোফোনে তারা জানান, অনেক দিন যাবৎ আমরা ডায়াবেটিস এ ভুগছি ঠিক মত কাজও করতে পারছি না। পরে, অনলাইন ডেস্কে প্রকাশিত নিউজটি দেখার পর মাসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করি। এবং তার পাঠানো গাছ-গাছরার তৈরি ওষুধ তার নিয়ম অনুযায়ী খেয়ে এখন তারা সুস্থ।
নোয়াখালীর মহতাপুর গ্রামের শফিউল্লাহ জানান, তার বয়স ৬৫ এর উপরে। আমার ডায়াবেটিস হওয়ার পর থেকেই শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। আমার শরীরে বল পাইনা। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক চিকিৎসা সেবা নেয়ার পরও সুস্থ্য হইনি। বর্তমানে আমি টাঙ্গাইলের কবিরাজ মাসুদ মিয়ার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেছি। বর্তমানে আমার ডায়াবেটিস মাপার পর ৫-৬ এ নেমে এসেছে। কথা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার পাটকেলবাড়ি গ্রামের বিনোদ রায়ের ছেলে স্বপন রায়ের সাথে তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী, তার ডায়াবেটিস হওয়ার পর ঢাকা বারডেম হাসপাতালেসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। পরে, টাঙ্গাইল থেকে কবিরাজে গাছ-গাছরার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে তিন মাসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
এ ছাড়াও কথা হয়, চাঁদপুরের ফখরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমুন নাহার, ঢাকা ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও ভোলার শফি উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ডায়াবেটিস রোগীর সাথে।
তারা জানান, ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ। শরীরে বাসা বেধেঁ ধীরে ধীরে শরীরকে অসুস্থ্য করে তুলে। এবং শরীরের কাটা ছেড়া ও ফুড়া উঠলে তা সেরে উঠতে চায় না। এ রোগ চিরজীবনের জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাসুদ মিয়ার ওষুধ খেয়ে এখন আমরা ভাল ও সুস্থ্য আছি।
এ বিষয়ে কবিরাজ মাসুদ মিয়ার সাথে কাথা হলে তিনি অনলাইন ডেস্ককে জানান, তার রোগী মিরপুরের সার্জেন্ট বরকত আলী, ঢাকার কাওরান বাজার এলাকার মো. মনির হোসেন, টাঙ্গাইল পার্ক বাজার এলাকার তোজাম্মেল হক, ভাল্লুক কান্দি গ্রামের সুজন মিয়া আলেয়া বেগম, ও মানিকগঞ্জের আব্দুল হামিদ মিয়া ও তার স্ত্রী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য জীবন যাপন করছেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন প্রকার ওষুধী গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা হয় ওষুধ আকারে ৪ মাসের কোর্স। আমার নিয়ম-কানুন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর এই নিয়ন্ত্রণ চিরজীবন ধরে রাখতে শুধু পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এতেই স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
তিনি আরও জানান, এই ওষুধী গাছ-গাছরা চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে পারছি না। এই ওষুধী গাছ-গাছরা যদি এখানে পাওয়া যেত তা হলে পারায় কাক্ষিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।
এ ব্যাপারে কবিরাজ – মাসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করুন। মোবাইল নং- (০১৭৯৮৪৫৯৩৩২)।