ওজন ঝড়ায় শীতের কাঁপুনি

ডেস্ক:

45472″ alt=”How-to-Save-on-Heating-Costs-4″ src=”https://www.bengalieye.com/wp-content/uploads/2014/01/How-to-Save-on-Heating-Costs-4-300×200″ width=”300″ height=”200″ />

শীতের কাঁপুনি ওজন ঝড়ায়। কথাটি আষাঢ়ে গল্পের মতো শোনালেও সত্যি। সম্প্রতি সেল প্রেসে প্রকাশিত একটি গবেষণা জার্নালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই গবেষণায় দেখা গেছে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় শরীরে যে কাঁপুনি সৃষ্টি হয়, তাতে ক্যালরি খরচ হয়। আর তাতে ধিরে ধিরে ওজন কমে। কিন্তু যারা ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে থাকতে নিজেদের অভ্যস্ত করে তুলেছেন, তারা সেই সুযোগটি পান না।
মাস্টরিচ বিশ্ববিদ্যালের গবেষক মার্কেন লিচেনবেল্ট ও তার সহকর্মীরা প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই মানব দেহে ঠাণ্ডার কি প্রভাব পড়ে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তারা দেখেন, বাইরের থেকে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনশীল এবং এই তাপমাত্রা শরীরের জন্য উপযোগী। যদিও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের তারা এখনো অপেক্ষা করছেন।
এই গবেষণার প্রথম গবেষক জানান, তারা প্রথমে ভেবেছিলেন পরিবেশের তাপ মানব স্বাস্থ্যের ওপর কি প্রভাব ফেলে তা পরীক্ষা করার। তারপর তারা দেখেন, অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা তাপমাত্রা শরীরের শক্তি বা ক্যালোরির ওপর গভীর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম।
নেদারল্যান্ডের এই গবেষক দলটি আরও দেখেন, মানুষেরা সাধারণত ঠাণ্ডা পরিবেশেই থাকতে বেশি অভ্যস্ত। তবে যারা প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় থাকেন তারা কিন্তু শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে তারা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন। ফলে তারা ১৫ ডিগ্রি সেসিয়াস তাপমাত্রাতেও কাঁপেন না।
গবেষকরা জানান, তরুণ ও মধ্যবয়স্ক মানুষেরা শরীরে উৎপাদিত তাপের মাত্র ৩০ বা তার চেয়ে কিছু শতাংশ বেশি পর্যন্ত গ্রাহ্য করতে পারে। অনেকটা সে কারণেই শীতকালে মানুষের চেহারা বা ওজনের একটি তারতম্য চোখে পড়ে।
Facebook
Twitter
WhatsApp